নরম পলিমাটির দেশে স্থায়িত্বশীল উপকরণের অভাব, বিরূপ জলবায়ু, নদীভাঙন, রাজধানীর স্থান পরিবর্তন, বিদেশি শাসন প্রভৃতি কারণে এদেশে স্থায়িত্বশীল সমৃদ্ধ স্থাপনা খুব বেশি নাই। কুষ্টিয়া জেলাতে মুঘল শাসনামলে ব্যক্তি উদ্যোগে মসজিদ ও মন্দির গড়ে ওঠে। ব্রিটিশ শাসনামলে ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে বেশ কিছু জমিদার বাড়ি তৈরি হয়। এগুলোর মধ্যে কিছু ভবন যথেষ্ট উন্নত ও নান্দনিক স্থাপত্য-নকশা সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ প্রত্ন-আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে ৩টি বিষয় বিবেচনা করে এই গ্রন্থের স্থাপনা নির্বাচন করা হয়েছে : ১. ভবনটি শতবর্ষী কিনা; ২. ভবনের সাথে ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত কিনা ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এই ভবনের মালিক ছিলেন কিনা; ৩. স্থাপত্য নকশায় নান্দনিকতা রয়েছে কিনা।
এই গ্রন্থের লেখক দীর্ঘ ৪ বছর জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিভ্রমণ করে ৪৬ টি প্রত্নস্থাপনার ইহিতাস, স্থাপত্যিক-নকশা, স্থাপনাসমূহের বিভিন্ন অংশের পরিমাপ গ্রহণ করেছেন। ৫৩টি শতবর্ষী ভবনের (যা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ) ছবি ও সাধারণ বর্ণনা সংযোজন করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত ২০ সেট প্রত্নবস্তুর ছবি সংযোজন করা হয়েছে। স্থাপনাসমূহের স্থাপত্য-নকশা বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিয়েছেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি সাজ্জাদুর রশীদ। প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রকাশনা উপপরিচালক ড. আতাউর রহমান। বিভিন্ন স্থাপনার তথ্য প্রদান করেছেন, আলোকচিত্র সরবরাহ করেছেন ও ক্ষেত্রবিশেষে পরামর্শও প্রদান করেছেন কুষ্টিয়ার আরও ৪১ জন সম্মানিত নাগরিক।
Title | কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন |
Author | মোঃ রেজাউল করিম, Md. Rezaul Karim |
Publisher | গতিধারা |
ISBN | |
Edition | 2024 |
Number of Pages | 264 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন