ভূমিকা প্রায় ১০০ বছর (১৯২৫ সাল, কলকাতা) ধরে বাংলা বানানের নিয়মকানুন লেখা হচ্ছে তবু আজ পর্যন্ত বাংলা বানানের গ্রহণযোগ্য স্থায়ী রূপ নিতে পারল না। আর কত? এবার একটি স্থায়ী রূপ দিতে পারে বাংলা একাডেমি। এই মুহূর্তে ‘প্রমিত বানানের সহজপাঠ’ নামের আরেকটি বানানের নিয়মকানুন-জাতীয় পাণ্ডুলিপি আমার হাতে; এটির লেখক তরুণ কবি আকবর চৌধুরী।
আকবর তরুণ হলেও একজন সচেতন লেখক। ‘প্রমিত বানানের সহজপাঠ’ বইটি ছোটো হলেও নিয়ম-নির্দেশনাপূর্ণ একটি বই। তিনি নিয়মগুলো গুছিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বানানের নিয়মগুলো সূচিবদ্ধ হয়েছে সুচারুভাবে। বর্তমানে বাংলা শব্দের পরিমাণ অনেক; তা প্রায় দুই লক্ষ। এসব শব্দের নিয়মকানুনও কম নয়, তিনশ তো হবেই। সেদিক দিয়ে সব নিয়ম উঠে না আসলেও লেখক যে নিয়মগুলো উপস্থাপন করেছেন সেগুলো সব সময় কাজে লাগে।
বানান কাদের জন্য- প্রশ্ন থাকতে পারে। লেখক সৃজনশীল হন তাই তাদের কাছে বানান তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তারা বলেন- বানান ঠিক করা সম্পাদকের কাজ। প্রমিত বানান, শুদ্ধ শব্দ ব্যবহার, শুদ্ধ বাক্য ব্যবহার- একজন লেখককের বড় শক্তি; এসব অবজ্ঞা করা সৃজনশীল লেখকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না কারণ এসব অশুদ্ধ হলে বাক্যে অর্থও পরিবর্তিত হওয়া সম্ভাবনা থাকে। তাই একজন লেখকের উচিত সচেতন হওয়া।
ছাত্র, অভিভাবক, শিক্ষক, লেখক, সম্পাদক, প্রুফরিডার সর্বোপরি একজন সচেতন ব্যক্তির প্রয়োজন হয় শুদ্ধ বলার সঙ্গে সঙ্গে শুদ্ধ লেখার জন্য প্রমিত বানান, শুদ্ধ শব্দ ব্যবহার এবং শুদ্ধ বাক্য ব্যবহার করার।
আকবরের মতো প্রত্যেক লেখক যদি লেখার শুদ্ধতার দিকটি খেয়াল রাখেন তাহলে সাহিত্যসহ প্রত্যেকটি সৃজনশীল ও মননশীল জায়গা শুদ্ধ, সুন্দর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবে।
বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের মর্যাদা দানের জন্য নির্ভুল লেখার ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। বইটি সেই সহায়তা করবে বলে আশা করি। লেখকের এই নতুন উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি।
হাসান রাউফুন
মগবাজার, ঢাকা
২১.১০.২১
                                    
                                    
                                    
                                 
                            
0 Review(s) for প্রমিত বানানের সহজপাঠ