• 01914950420
  • support@mamunbooks.com

মুঘল সাম্রাজ্যের সময় জোতদার, জমিদাররা আভিজাত্যের প্রতীক ছিল এবং শাসক শ্রেণি গঠন করত। বাঙালি সমাজের রূপান্তর ঘটেছিল বিদেশি স্বার্থে। একশ্রেণির হিন্দু-মুসলমান বাঙালি, শাসকের অনুগত হয়ে বিত্ত সঞ্চয় করে আভিজাত্যের তকমা লাগিয়ে সমাজ- প্রভু হয়ে ওঠে। বিত্তের গদিতে আরোহণের সঙ্গে সঙ্গে তারা রাজা, রায়বাহাদুর খেতাবে বিভূষিত হতে থাকে। বেশির ভাগ বাঙালি সহায়সম্পদ হারিয়ে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিল। জমিদাররা ইংরেজ শাসনের ভিত পাকাপোক্ত করেছিল- তাদের স্বার্থেই দরিদ্র গ্রামবাসীকে বাস্তুচ্যুত করেছিল, দারিদ্র্যের শেষবিন্দুতে পৌঁছে দিয়েছিল। এই গ্রামবাসীর পনেরো আনাই ছিল কৃষক। পাঠান, মুঘল শাসনব্যবস্থাকে ম্লান করে বিদেশি ইংরেজ শাসকরা তাদের অধিকৃত অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে যে শোষণযন্ত্র তৈরি করে, সেক্ষেত্রে জমিদাররা গ্রহণ করেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রাস্তার ধারে গাছ লাগিয়ে, রাস্তা নির্মাণ, ইন্দারা বা কুয়া ও পুকুর কাটিয়ে তথাকথিত গণমঙ্গলের যে উদ্যোগ তারা নিয়েছিল, তার অন্তরালে ছিল তাদের শোষণের নৃশংস মানসিকতা। হিন্দু-মুসলমান সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়ে যে জমিদার গোষ্ঠীর সৃষ্টি, তাদের নিষ্ঠুরতার যে পরিচয় পাওয়া যায়, তার অন্যতম হলো দুর্ভিক্ষ। বিদেশি বণিক যখন এ দেশে প্রভু হয়ে বসে, তখন তারা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বাণিজ্যিক স্বার্থে পরিচালিত করে। সেজন্য তাদের প্রয়োজন হয়েছিল জমিদারশ্রেণির মতো এক গোষ্ঠীর। কুষ্টিয়ার সেই অতীত জমিদারের ইতিহাস আলোকপাত করার প্রয়োজন রয়েছে।

Title কুষ্টিয়ার জমিদার (হার্ডকভার)
Author
Publisher কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী
ISBN
Edition 2025
Number of Pages
Country Bangladesh
Language Bengali,

Related Products

Best Selling

Review

0 Review(s) for কুষ্টিয়ার জমিদার (হার্ডকভার)

Subscribe Our Newsletter

 0